স্টাফ রিপোর্টারঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় টুঙ্গিপাড়া শাখা ম্যানেজার আবু সাঈদ এর নামে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সাঈদের নেতৃত্বে কিছু মাঠকর্মী ফিল্ডে কাজ করে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে বীমা করিয়ে দিয়ে তাদের কাছ থেকে যে টাকা বীমা পলিসি বাবদ নেন৷ সেই টাকা অ্যাকাউন্টে না যোগ করে নিজের পকেটে রেখে ম্যানেজার সাঈদ কমিশনের মাধ্যমে মাঠ কর্মীদের নিয়ে ভাগ করে খান। কিছু শামিমা নামের এক ভুক্তভোগী জানান, সাঈদ নিজে এসে আমার পরিবারের ছয়টা বীমা পলিসি করে দেন। এবং আমার স্বামীর অতিরিক্ত বয়স থাকা সত্ত্বেও তিনি ভুয়া কাগজ দিয়ে বীমা পলিসি করে দেন। এবং আমার কাছের থেকে ১২,০০০ হাজার টাকা নেন সাঈদ সাহেব। যেখানে বীমা পলিসি ৫০ বছর এর বেশি হলে হবে না সেখানে ভুয়া কাগজ দিয়ে বীমা পলিসি করে দেন এই প্রতারক সাঈদ সাহেব। আমার স্বামীর বয়স ৫০ এর বেশি কিন্তু সাঈদ সাহেব ভুয়া ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে বয়স কম দিয়ে তারপর বীমা পলিসি করেন। সেই কাগজপত্র হেড অফিসে পাঠিয়ে আমার স্বামীর কাছ থেকে বীমা বাবদ ১২০০০ টাকা নেন। এক বছর টাকা দেয়াড় পরে আমার স্বামী সাইফুর রহমান মারা যান পরে আমার স্বামীর মৃত্যু দাবি চাইতে গেলে টুংগীপাড়া শাখার ম্যানেজার সাঈদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেন। এবং আমাকে বলেন কিছুদিন পরে আসেন টাকা দিয়ে দিব এভাবে প্রায় পাঁচ বছর তার পিছে ঘুরার পরেও কোনো ফল পাই নাই বলে জানান। সর্ব শেষ সাংবাদিকের কাছে সংবাদ সম্মেলন করি। এবং আমার নামে দুইটা বীমা পলিসি করেন প্রথম টায় ১২০০০ হাজার টাকা নেন, পরে আর এক টায় ৬০০০ টাকা নেন। ভুক্তভোগী শামিমা জানান, আইরিন আক্তার (১২০০০) হাজার টাকা, লাইলা আক্তার (৬০০০), আন্না আক্তার (৬০০০), মোট ৬ টা বীমা করা হয় টুঙ্গিপাড়া শাখা রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে।
আর এক ভুক্তভোগী জানান, মিজানুর, সাং- পাটগাতী, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ, মিজানুর হক বলেন আমার একটা বীমা পলিসি করি সেখানে জমা করি ৪১০০০ হাজার টাকা। পরবর্তী নানা অজু হাত দেখান আমার টাকা চাইতে গেলে আমি বাধ্য হয়ে মামলা করার কথা বললে আমাকে টাকা দেওয়ার স্বীকার হয় সাঈদ। এবং ৮০,০০০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা প্রথমে নগদ ২০,০০০ টাকা দেন। বাকি ৬০,০০০ হাজার টাকা চেক দেওয়ার কথা বলে, ম্যানেজার সাঈদ আমাকে ইসলামি ব্যাংকের একটা চেক দেন যা সাঈদ এর নিজের নামের। তবে আমাদের প্রশ্ন কেনো তিনি তার নিজের নামের চেক দিলেন বীমা কোম্পানির চেক ছাড়া উর্দ্ধতন কর্মকর্তা কাছে বিষয় টা জানার জন্য অনুরোধ রইলো।
ম্যানেজার সাঈদ একজন দু:চরিত্র লোক বটে। এরকম ১০/১৫ ভুক্তভোগী জানান আবু সাঈদ ও মাঠকর্মীরা বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছে। এভাবে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আবু সাঈদ ও তার মাঠ কর্মীরা। তাই উর্দ্ধতন কর্মকর্তা সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কাছে বিশেষ অনুরোধ সাঈদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন ভুক্তভোগীরা।