দরজা-জানালা বিহীন ভাঙ্গাচোড়া পরিত্যাক্ত এক ঘরে অগোছালো চুল ও ছেড়া-ময়লা পোষাকের এক মহিলার কোলে নবজাতক শিশু। বাড়ীর বাড়ীর উঠানে ভিড় করছেন এলাকার বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। সকলেই আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছে নবজাতক শিশুটিকে।
শিশুটির মা ৩৫ বছর বয়সী মাহমুদা খানম মানসিক ভারসাম্যহীন এক পাগলী। গত শনিবার বিকেলে এই ঘরেই মাহামুদা খানম এক পুত্র সন্তানের মা হয়েছে। তবে সন্তানের বাবা হয়নি কেউ। কে এই সন্তানের বাবা এই নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝেচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মাহমুদা খানম সিতাইকুন্ড গ্রামের দিনমজুর মালেক মিয়া ও গৃহিনী জয়েদা বেগমের মেয়ে। ৫ সন্তানের মধ্যে মাহমুদা সকলের বড়।
মাহমুদার মা বলেন, মাহামুদা খানম ১০ বছর আগে পরিবারের অভাবের তাড়নায় ঢাকায় গামের্ন্টেসে চাকুরি নেয়। সেখানে ভালবেসে এক ছেলেকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ওই ছেলে মাহমুদাকে ছেড়ে চলে গেলে মানসিক ভারসাম্য হয়ে পড়েন। এরপর গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।
বাড়িতে এসে স্থানীয় সিতাইকুন্ড বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। অনেক চেষ্টা করেও মাহামুদাকে বাড়িতে আটকে রাখতে পারি নাই।
কয়েকমাস আগে থেকে মাহামুদার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলেও আমরা আমলে নেই নাই। এভাবেই কয়েকমাস কেটে যায়। তবে কিছুদিন আগে বিষয়টি বুঝতে পেরে জানার চেষ্টা করলে মাহমুদা বাড়ি থেকে চলে যায়। কিছু বলতে গেলে সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি এমনকি মারধোর করতে আসে।
গত শনিবার বিকালে মাহামুদা পুত্র সন্তানের মা হয়। কিন্তু এই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন না কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন, গত দু’বছর আগেও মাহমুদা একবার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল। তখন মাহামুদার গর্ভপাত করানো হয়৷